বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১১ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল খুলছে আজ

 প্রকাশিত: ১০:১২, ৫ অক্টোবর ২০২১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল খুলছে আজ

 আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হল খুলে দেওয়া হচ্ছে। আবাসিক হলে উঠতে শিক্ষার্থীদের কমপক্ষে এক ডোজ টিকা নিতে হবে। ঢাবি ক্যাম্পাসের অস্থায়ী ক্যাম্পে টিকা প্রদানের প্রথম দিনে গতকাল সোমবার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ২৬৫ জন টিকা নিয়েছেন।

অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, করোনাভাইরাস থেকে ঢাবি শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত টিকার আওতায় আনতে অস্থায়ী ক্যাম্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে টিকা কার্যক্রম শতভাগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করা হবে।
সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মজিবুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে হল প্রশাসন সম্পূর্ণ প্রস্তুত। শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য হলে সংস্কার কাজ শতভাগ সম্পন্ন করা হয়েছে। করোনা-পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং আবাসিক হলে জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে হল প্রশাসন সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল। ওয়াশরুম, পানি ও বিদ্যুতের লাইন এবং ঝরাজীর্ণ দেওয়াল সংস্কার করা হয়েছে। হলের রুম রঙ করা হয়েছে।

এদিকে আবাসিক হল খোলার আগেই শিক্ষার্থীরা হলে : আজ আবাসিক হলে ওঠার কথা থাকলেও ছাত্রদের একটি অংশ আগেই হলে উঠে গেছেন। ঢাবির এক শিক্ষার্থী যুগান্তরকে বলেন, হল বন্ধ থাকায় মেসে থাকতাম। ৫ অক্টোবর হল খুলবে। কিন্তু কোনো বাসা তো ৫ তারিখে ছাড়া সম্ভব নয়। ৫ তারিখে বাসা ছাড়লে ওই মাসের পুরো ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। তাই বাসা ছেড়ে হলে উঠতে বাধ্য হয়েছি। শৃঙ্খলাভঙ্গ করে যারা আবাসিক হলে উঠেছেন তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শনিবারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

এদিকে শিক্ষার্থীদের জন্য এসওপি চূড়ান্ত : ক্যাম্পাস খোলার পর শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে নীতিমালা প্রণয়ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জাতীয় নীতিমালার আলোকে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রণয়ন করা হয়েছে। এসওপির বিষয়ে প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির বলেন, এটি হল প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি আরও বলেন, করোনা তো দ্রুত চলে যাচ্ছে না। তাই মেডিকেল সেন্টারে দুই-তিনটা রুম আইসোলেশন সেন্টারের জন্য রাখা হবে। এরপরও কোনো শিক্ষার্থীর উন্নততর চিকিৎসার প্রয়োজন হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। নীতিমালার আলোকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর শুধু বৈধ শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট হলে অবস্থান করতে পারবেন। যাদের ছাত্রত্ব নেই, তারা কোনোভাবেই হলে অবস্থান করতে পারবেন না। এছাড়া হলে থাকবে না কোনো ধরনের গণরুম।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: