শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ৭ ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঢাকা ওয়াসার দুই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুদকের তল্লাশি

 প্রকাশিত: ০৯:৩১, ১৯ অক্টোবর ২০২১

ঢাকা ওয়াসার দুই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুদকের তল্লাশি

ঢাকা ওয়াসার দুই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুদকের তল্লাশি। তাদের একজন হচ্ছে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান। তার  বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ লক্ষ্যে উপ-পরিচালক মো. আলী আকবরকে কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে সরকারের শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পের নামে বরাদ্দ হওয়া অর্থ কাজ না করে কখনও বা নিম্ন মানের পাইপ সরবরাহ করে নিজে আত্নসাত করেন। এর মধ্যে পদ্মার জশলদিয়া প্রকল্পে নিম্ন মানের পাইপ স্থান করে অন্তত: ৫শ’ কোটি টাকা আত্নসাত করেন। নদীর তলদেশে পাইপ সুরক্ষার কেসিং পাইপের জন্য বরাদ্দকৃত ১শ’ কোটি টাকা ও রামপুরা-কমলাপুর পানির পাম্প প্রকল্পের ৪শ’ কোটি টাকা রয়েছে। ডিডব্লিউএসএনআইপি প্রকল্প পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রকল্পে ঠিকাদার নিয়োগে ৪০ কোটি, গুলশান-বারিধারা লেক দূষণমুক্ত প্রকল্পের ৫০ কোটি ও ঢাকা ওয়াসার কর্মচারী সমিতির মাধ্যমে ৪৪৫ কোটিসহ ৫৩৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের পৃথক দু’টি অভিযোগপত্রে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে ঢাকা পর্যন্ত পাইপ বসাতে তিনটি নদী ক্রসিং করতে নদীর তলদেশে পাইপ সুরক্ষার কেসিং পাইপের জন্য বরাদ্দকৃত ১শ’ কোটি টাকার পুরোটাই আত্মসাৎ করা হয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতায়। এভাবে প্রতি ক্ষেত্রে দুর্নীতি জড়িয়ে থাকায় প্রতিদিন ৪৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহের কথা থাকলেও সরবরাহ করা হচ্ছে তিন ভাগের এক ভাগ। এছাড়া রাজধানীর জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে ৪শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে রামপুরা ও কমলাপুরে দু’টি পানির পাম্প স্থাপনের কথা থাকলেও প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই পুরো টাকাই আত্মসাৎ করেছেন প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম। তার স্ত্রীর নামে থাকা ঠিকাদারি লাইসেন্স দিয়ে ওয়াসার কাজ করার অভিযোগও রয়েছে ঢাকা ওয়াসার পদ্মা (জশলদিয়া) ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্রকল্পের এই পরিচালকের বিরুদ্ধে।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: