জীবনের গল্প - ১
প্রকাশিত: ১০:৪৬, ৪ অক্টোবর ২০২০
স্বল্প আয়ের খেদমত। গুছিয়ে বাজার করতে হয়। সৌখিনতা ও বাহুল্য নয়, একান্ত প্রয়োজনটুকু পুরণ করে চলি। বাহ্যত চাকচিক্য নেই ঘরে, তবে শান্তি আছে। ভালোবাসা আছে। সৌকর্য ও স্বাধীনতা আছে।
বারাকাহ হলে সীমিত আয়-ই যথেষ্ট। না হয়েও সব হয়ে যায়। স্থুল দৃষ্টিতে অভাব দেখালেও আগলে রাখার চিন্তা বা হাতছাড়া হওয়ার ভয় থাকে না; কিন্তু সম্পদের পাহাড় গড়ে তুষ্ট হতে না পারলে জীবনকে ব্যর্থ মনে হয়। অভাববোধ দূর্বল করে দেয়। না পাওয়ার কষ্টে সে হতভাগা ক্ষয়ে ক্ষয়ে মরে। ধনাঢ্যতা সত্যই হৃদয়ঘনিষ্ঠ ব্যাপার।
আজ মনে হল, অবিলাসী কারও সাথে কথা বলি। জীবনের বাস্তবতাকে তারা কিভাবে বরণ করে সেটা দেখি। প্রিয় ছাত্রদের একজনকে ডাকলাম।
- নাস্তা খেয়েছ?
- জ্বী!
- কী ছিল তোমার আজকের নাস্তা?
- পান্তা আর মরিচ বাটা!
- কী করেন তোমার আব্বু?
- মুরগী বিক্রি করেন! কোথায়?
- শহরের পথে ঘুরে ঘুরে!
- আরও কিছু প্রশ্ন করার ছিল। বাইরে কেউ ডেকে ওঠল, মুরগী! মুরগী নিবেন মুরগী!! ছেলেটি নড়ে বসল। এইতো হুজুর, এটা আমার আব্বুর স্বর!
অনলাইন নিউজ পোর্টাল
মন্তব্য করুন: