বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১২ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলাম

জান্নাতে যাওয়ার কয়েকটি উপায়।

 প্রকাশিত: ০৯:০৪, ১৭ জুলাই ২০২১

জান্নাতে যাওয়ার কয়েকটি উপায়।

প্রত্যেক মুসলমানের জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ হলো জান্নাতে প্রবেশ করা। 
কোন সুস্থ বিবেক না চায় জান্নাতে যেতে? পৃথিবীতে মানুষ যত বিত্তশালী হোক এবং যত সুখ-শান্তিই ভোগ করুক না কেন তবু কোনো না কোনো দুঃখ বা অশান্তি থেকেই যায়, কোনো মানুষের পক্ষেই সম্পূর্ণ সুখী হওয়া সম্ভব নয়। এমনকি পৃথিবীতে মাল্টি বিলিয়নিয়ার হয়েও আরো বেশি পাওয়ার জন্য এবং ভোগ করার জন্য দুঃখের শেষ থাকে না। পক্ষান্তরে জান্নাতীগণ- যাকে সবচেয়ে ছোট জান্নাত দেয়া হবে তার কোনো অনুতাপ বা দুঃখ থাকবে না।  কিন্তু কীভাবে আমরা জান্নাতে যাবো?

জেনে নিন জান্নাতে যাবার ৬টি উপায়ঃ 
১. কথা বলার সময় নিজেকে সংযত করুন। প্রত্যেক কথোপকথনে মনে রাখুন  রাসূল (সা.) এর এ হাদীসটিঃ

من صمت نجا

অর্থাৎ যে চুপ থাকে সে নিরাপদে থাকে৷ (তিরমিযি, ২৫০১)

২. বিপরীত লিঙ্গের মানুষের প্রতি কুপ্রবৃত্তির থেকে নিজেকে হেফাজত করুন। এ ব্যাপারে রাসূল (সা.) আমাদের সতর্ক করে বলেছেনঃ 

مَنْ يَضْمَنْ لِي مَا بَيْنَ لَحْيَيْهِ وَمَا بَيْنَ رِجْلَيْهِ أَضْمَنْ لَهُ الجَنّةَ

অর্থাৎ যে ব্যক্তি  তার যবান ও লজ্জাস্থান হেফাযতের যামানত দিতে পারবে, আমি তার জান্নাতের যামিন হব। 

(সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৪৭৪)

৩. আপনার কন্যা সন্তানের অন্তরে ইসলামের বীজ বপন করে দিন। ভুলে যাবেন না; রাসূল (সা.) বলেছেন,

مَنْ ابْتُلِيَ بِشَيْءٍ مِنَ البَنَاتِ فَصَبَرَ عَلَيْهِنّ كُنّ لَهُ حِجَابًا مِنَ النّارِ 

‘যে ব্যক্তিকে কন্যা সন্তান লালন-পালনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এবং সে ধৈর্যের সঙ্গে তা সম্পাদন করেছে সেই কন্যা সন্তান তার জন্য জাহান্নাম থেকে আড়াল হবে। (জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯১৩) 

৪. এতিমদের সহযোগিতা করুন। নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,

'মুসলিমদের ওই বাড়িই সর্বোত্তম, যে বাড়িতে এতিম আছে এবং তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা হয়। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট ওই বাড়ি, যে বাড়িতে এতিম আছে অথচ তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়। অতঃপর তিনি তাঁর অংগুলির মাধ্যমে বলেন, ‘আমি ও এতিম প্রতিপালনকারী জান্নাতে এমনভাবে অবস্থান করব।’ (ইবনে মাজাহ : ৩৬৭৯)

৫. আল্লাহর সুন্দর নামগুলো অন্তরে ধারণ করুন। আপনার সারাদিন কাটুক আল্লাহর নাম স্মরণ করার মাধ্যমে! 

‘আল্লাহর নিরান্নব্বইটি নাম আছে। যে ব্যক্তি এ নামগুলো গণনা করবে, সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে’। [বুখারি ও মুসলিম]

৬. প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন। বিশেষ করে ফজর ও আসর নামাযের প্রতি মনোযোগী হন। (কোনো কোনো আলিম এশার নামাযের কথা উল্লেখ করেছেন। 

‘যে ব্যক্তি দুই শীতল (নামাজ) পড়বে, জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর দুই শীতল (নামাজ) হলো ফজর ও আসর। ’ (বুখারী)

৭. জামায়াতের সাথে নামাজ আদায় করুন!

'যে ব্যক্তি জামায়াতে সালাত আদায়ের জন্য সকাল-সন্ধ্যা নিয়মিত মসজিদে যাবে, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য জান্নাতে একটি সম্মানজনক স্থান নির্ধারণ করবেন যেখানে তার জন্য থাকবে উত্তম মেহমানদারির ব্যবস্থা।'(বুখারী)

আল্লাহ আমাদের সবাইকে জান্নাত দান করুন! আমীন!

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: