খুশু ও খুজুর সাথে সালাত আদায় করতে চারটি বিষয় ভাবুন
প্রকাশিত: ১১:১৬, ১৪ জুলাই ২০২১
কালেমা শাহাদাতের ঘোষণার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি যখন ইসলামে প্রবেশ করে, তখন মুসলমান হিসেবে তার ওপর প্রথম দায়িত্ব হয় নামাজ আদায়। নামাজ ওই ব্যক্তির ঘোষিত ঈমানের ব্যবহারিক প্রমাণ।
রাসূল (সা.) বলেছেন,
“মুমিন ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টিকারী হলো নামাজ।” (মুসলিম)
কিন্তু অনেক সময় নামাজে দাঁড়ানোর পর আমাদের মনে নামাজের বাইরের বিভিন্ন চিন্তা চলে আসে। নামাজের মধ্যে আমাদের মন থাকে না। ফলে আমাদের নামাজ যথাযথভাবে আদায় হয় না।
নামাজ যথাযথভাবে আদায়ে সহায়ক চারটি পন্থা এখানে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।
১. শেষ নামাজ হিসেবে কল্পনা
যখনই আপনি নামাজে দাঁড়াবেন, কল্পনা করুন জীবনে শেষবারের মতো নামাজ আদায় করছেন। এ নামাজের পরপরই হয়তো আপনি দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে আল্লাহর কাছে হাজির হবেন।
তাই জীবনের শেষ এই নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা লাভের শেষ সুযোগটি যথাযথভাবে কাজে লাগান।
২. ধীরে সুস্থে নামাজ আদায়
নামাজ আদায়ের সময় তাড়াহুড়ো না করে ধীরে সুস্থে আদায় করুন। যথাযথ সময় নিয়ে দাঁড়ান, রুকু-সিজদা করুন, বসুন। কুরআন তেলওয়াত ও অন্যান্য দোয়া ধীরে সুস্থে পাঠ করুন।
৩. শয়তান থেকে আশ্রয় চাওয়া
নামাজের শুরুতেই শয়তানের কাছ থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে দোয়া করে নিন। শয়তান যাতে নামাজে আপনার মনোযোগ নষ্ট করতে না পারে, সেজন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন।
৪. সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী প্রভুর সামনে দাঁড়ানো
নামাজ আদায়ের সময় কল্পনা করে নিন, আপনি আল্লাহর সামনে দাঁড়ানো। তিনি আপনাকে দেখছেন। কল্পনা করুন, এমন সর্বোচ্চ এক অধিকর্তার সামনে আপনি দাঁড়ানো যিনি সবার ওপর ক্ষমতাশালী। সুতরাং, যথাযথ সম্মান ও সম্ভ্রম নিয়ে তার সামনে দাঁড়ান।
আল্লাহ আমাদের সবার নামাজকে যথাযথভাবে আদায়ের তৌফিক দিন।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল
মন্তব্য করুন: