মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১০ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কুয়েট এর আবাসিক হল ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা

 প্রকাশিত: ১৮:৩১, ৩ ডিসেম্বর ২০২১

কুয়েট এর আবাসিক হল ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আবাসিক হল ছেড়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে সাতটি আবাসিক হলের প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী হল ছাড়েন। একইদিন দুপুরে সিন্ডিকেট সভার নির্দেশ পাওয়ার পর থেকেই হল ছাড়তে শুরু করে্ন শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে সিন্ডিকেট সভা ‍শুরু হয়। সভায় কুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেনসহ সিন্ডিকেট সদস্যরা অংশ নেন। সেখানে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্যাম্পাস বন্ধসহ বিকেল ৪টার মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের হল ত্যাগের সিদ্ধান্ত হয়।

কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের প্রফেসর ড. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল হওয়ায় এ জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এদিকে আচমকা হল ছাড়ার এ নির্দেশে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে কিছু শিক্ষার্থীদের। হল ছাড়া শিক্ষার্থীরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ ছিল। আবারো যদি এমন হয় তাহলে আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হবো। তবে সেলিম স্যারের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন ও দোষীরা শাস্তির আওতায় এলেই আমরা খুশি।

প্রসঙ্গত, ৩০ নভেম্বর দুপুরে কুয়েটের ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তিনি লালন শাহ ছাত্র হলের প্রভোস্ট ছিলেন। হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু মৃত্যুর আগে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছিলেন তিনি। লালন শাহ হলের ডিসেম্বর মাসের খাদ্য ব্যবস্থাপক (ডাইনিং ম্যানেজার) নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে ছাত্র সংগঠনের কিছু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। তারা তাদের মনোনীত প্রার্থীকে নির্বাচিত করার জন্য হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনকে নিয়মিত হুমকি দিতো।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: