শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, চৈত্র ১৫ ১৪৩০, ১৯ রমজান ১৪৪৫

ইসলাম

কুরআন মাজীদ তেলাওয়াতের সাত পুরস্কার

 প্রকাশিত: ১১:৪৩, ১২ জুলাই ২০২১

কুরআন মাজীদ তেলাওয়াতের সাত পুরস্কার

কুরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো বিশ্বমানবতার জন্য চূড়ান্ত পথনির্দেশনা। মানুষের সঠিক পথে জীবন পরিচালনার নির্দেশনা দিয়ে আল্লাহ এ গ্রন্থ রাসূল (সা.) এর উপর নাযিল করেছেন। 

পথনির্দেশনার পাশাপাশি এর সাথে সংশ্লিষ্টতায় আল্লাহ আমাদের অতিরিক্ত পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। এখানে সাতটি পুরস্কার সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা করা হলো।

১. এক অক্ষরে দশ নেকি
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন,

“যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাবের একটি অক্ষরও পাঠ করবে, সে একটি উত্তম কাজ করবে এবং একটি উত্তম কাজে দশ নেকি দেওয়া হবে।” (তিরমিজি)

২. দুর্বলতা নিয়ে কুরআন তেলওয়াতে দ্বিগুন পুরস্কার
হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন,

“যে ব্যক্তি আন্তরিকতার সাথে কুরআন তেলওয়াত করে, জান্নাতে সে সৎলোকদের সাথে থাকবে। এবং যে ব্যক্তির কুরআন তেলওয়াত করতে গিয়ে কষ্ট হবে এবং কষ্টের সাথেই তা তেলওয়াত করবে, সে দ্বিগুন পুরস্কার পাবে।” (বুখারী)

৩. সূরা ফাতিহা
হযরত আবু সাঈদ (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) একবার তাকে বলেন,

“আমি কি তোমাকে বলবোনা কুরআনের সবচেয়ে উত্তম সূরা কোনটি? এটি হলো ‘আলহামদুলিল্লাহ রাব্বিল আলামীন’ যাতে সাতটি বহুল তেলওয়াত করা আয়াত আছে।” (বুখারী)

৪. শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে রক্ষা
কুরআনের সূরা বাকারার ২৫৫ নং আয়াতটি আয়াতুল কুরসি হিসেবে পরিচিত।

হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি একবার রমজানে সংগ্রহীত যাকাত পাহারার দায়িত্ব পান। তখন এক ব্যক্তি সেখান থেকে কিছু চুরি করার চেষ্টা করলে তিনি তাকে ধরে ফেললেন এবং তাকে রাসূল (সা.) এর কাছে নিয়ে যেতে চাইলেন।

তখন সে ব্যক্তি তাকে রাসূল (সা.) এর কাছে নিয়ে না যাওয়ার অনুরোধ করে বললো, এর বিনিময়ে আমি তোমাকে একটি বিষয় জানাচ্ছি। যখন তুমি ঘুমাতে যাও, আয়াতুল কুরসি পাঠ কর। তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমার জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তোমার কোনো ক্ষতি করতে পারবেনা।” 

পরে রাসূল (সা.) কে এ বিষয়ে জানানো হলে তিনি বলেন,

“সে তোমাকে সত্যই বলেছে যদিও সে নিকৃষ্ট মিথ্যাবাদী। সে ছিল শয়তান।” (বুখারী)

৫. জীবনে বরকত
হযরত আবু মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন,

“যদি কেউ রাতে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত তেলওয়াত করে, তবে এটিই তার জন্য যথেষ্ট হবে।” (বুখারী)

৬. কেয়ামতে শাফায়াতকারী
রাসূল (সা.) বলেছেন,

“কুরআন পাঠ করো। কেননা কিয়ামতের দিন এটি তার পাঠকারীর জন্য শাফায়াত করবে।” (মুসানাদে আহমদ)

৭. দাজ্জাল থেকে রক্ষা 
হযরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন,

“যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্ত করবে, সে দাজ্জাল থেকে নিরাপদ থাকবে।” (মুসলিম)

আল্লাহ আমাদেরকে এসকল পুরস্কার অর্জনে সক্ষম করুন।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: