শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১২ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বিজ্ঞান

করোনার জিনের বদল রুখবে কৃত্রিম ভাইরাস

 প্রকাশিত: ০৮:৪৯, ১৪ জুলাই ২০২১

করোনার জিনের বদল রুখবে কৃত্রিম ভাইরাস

পেনসিলভানিয়া স্টেন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলেছে ,সার্স-কভ-২  মরণভাইরাসের দ্রুত প্রতিলিপি তৈরি করে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা ঠেকাবে বিশেষভাবে তৈরি এক ধরনের ভাইরাস। আসলে সত্যিকারের ভাইরাস নয়, কৃত্রিম উপায়ে তৈরি সিনথেটিক ভাইরাস। বিজ্ঞানীরা বলছেন, কভিডের চিকিৎসার সময় এই সিনথেটিক ভাইরাস মানুষের শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। এটি আসল ভাইরাসের সংক্রামক ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই। এই গবেষণার খবর এসেছে পিয়ার জে বিজ্ঞান সাময়িকীতে।

পেনসিলভানিয়া স্টেন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এই সিনথেটিক ভাইরাস তৈরি করেছেন। গবেষকদলের প্রধান মার্কো আরচেট্টি বলেছেন, সার্স-কভ-২ ভাইরাসের বিভাজন বন্ধ করে দিতে পারবে ল্যাবরেটরিতে তৈরি এই কৃত্রিম ভাইরাস। ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর আগেই ভাইরাল স্ট্রেন নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে।
কিভাবে কাজ করবে এই কৃত্রিম ভাইরাস—এ প্রশ্নের জবাবে গবেষকরা বলছেন, করোনাভাইরাস দেহকোষের রিসেপটর প্রোটিনের সাহায্যে কোষের ভেতরে ঢুকে বিভাজিত হয়ে সংখ্যায় বাড়তে থাকে। ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনই মূলত সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য দায়ী। তা ছাড়া ভাইরাসের এনভেলপ, পাতলা আবরণের মতো পর্দা বা মেমব্রেন ও নিউক্লিওক্যাপসিডও আছে। ভাইরাস যখন বিভাজিত হয়ে প্রতিলিপি তৈরি করে তখন এ সব কিছু মিলে ছোট ছোট কণা তৈরি করে অন্য কোষগুলোতে ঢুকে পড়ে, যাকে বলে ভিরিওন। এই ভিরিওনগুলোকে আটকানো গেলেই শরীরে ভাইরাসের গতি রোধ করা সম্ভব হবে।

বিজ্ঞানীদের তৈরি কৃত্রিম ভাইরাস হলো এক ধরনের সিন্থেটিক জিনোম, যার নাম ডিআই জিনোম। কৃত্রিমভাবে তৈরি এই ভাইরাসের গঠন অনেকটা করোনাভাইরাসের মতোই, তবে এর কাজ হলো করোনাকে নষ্ট করা। এই কৃত্রিম ভাইরাসও মানুষের শরীরে ঢুকলে প্রতিলিপি তৈরি করতে পারবে। আর এই প্রতিলিপিগুলো হবে করোনাকে নিষ্ক্রিয় করার উপাদান। কৃত্রিম ভাইরাসের মধ্যে এমন প্রোটিন থাকবে, যা করোনার প্রোটিনগুলোকে নষ্ট করে দেবে। ফলে সার্স-কভ-২ ভাইরাস আর কোষে ছড়াতে পারবে না।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: