শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, চৈত্র ১৪ ১৪৩০, ১৯ রমজান ১৪৪৫

ইসলাম

কন্যা সন্তানের প্রতিপালনে পাঁচ হাদীস

 প্রকাশিত: ১০:৩৯, ১৫ জুলাই ২০২১

কন্যা সন্তানের প্রতিপালনে পাঁচ হাদীস

আপনার সন্তান কি কন্যা? যদি আপনার উত্তর হ্যা হয়, তবে আপনি ভাগ্যবান।

রাসূল (সা.) এর হাদীস থেকে কন্যা সন্তানকে লালন-পালন করার বিপুল পুরস্কার ও রহমত-বরকতের কথা এসেছে।

এখানে কন্যা সন্তানদের লালন-পালনে রাসূল (সা.) এর বিভিন্ন হাদীস থেকে পাঁচটি হাদীস উল্লেখ করা হলো।

১.
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন,

“কোনো ব্যক্তির যদি কন্যা সন্তান থাকে এবং সে যদি তাকে জীবন্ত দাফন না করে বা তাকে হেলাফেলা না করে অথবা নিজের পূত্রদের সাথে কন্যার কোনো বৈষম্য না করে, তবে আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।” (আহমদ)

২.
হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন,

“যে ব্যক্তির তিনটি কন্যা থাকবে এবং সে যদি তাদের লালনপালন করে, তাদের দয়া করে এবং তাদের পেছনে ছায়ার মত দাঁড়ায়, জান্নাত তার জন্য কবুল হয়ে যাবে।”

এক ব্যক্তি রাসূল (সা.) কে জিজ্ঞেস করে, যদি দুইটি কন্যা হয় তবে তার জন্যও এটি প্রযোজ্য কিনা।

রাসূল (সা.) বলেন, “হ্যা, তার জন্যও যদি দুই জন থাকে।”

রাসূল (সা.) এক কন্যার বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলেও তিনি ইতিবাচক উত্তর দেন। (আল-আলবানী)

৩.
হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার এক নারী আমার কাছে তার দুই কন্যাকে নিয়ে এসেছিল। সে আমার কাছে খাবার জন্য কিছু চেয়েছিল কিন্তু একটি খেজুর ছাড়া আমার কাছে কিছু ছিলনা। সুতরাং আমি তাকে তাই দিলাম।

মহিলা তা নিয়েই এটিকে দুই ভাগ করে তার দুই কন্যাকে দিল এবং নিজে কিছুই না খেয়ে বিদায় নিল।

রাসূল (সা.) এলে আমি তাকে এ ঘটনার বিবরণ দিলে তিনি বলেন,

“যে ব্যক্তি কন্যা সন্তানের দ্বারা পরীক্ষার মুখোমুখি হয় এবং সে যদি তাদের সাথে কল্যাণময় আচরণ করে, তবে তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করা হবে।” (মুসলিম)

৪.
হযরত উকবা ইবনে আমের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন,

“যে ব্যক্তির তিন কন্যা সন্তান আছে এবং সে যদি তাদের সাথে ধৈর্যপূর্ণ আচরণ করে এবং তার সম্পদ থেকে তাদের লালন-পালন করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করতে তারা (কন্যা সন্তানেরা) ঢাল হিসেবে কাজ করবে।” (আল-আলবানী)

৫.
হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন,

“যে ব্যক্তি তার দুই কন্যা সন্তানকে বালেগ হওয়া পর্যন্ত লালন-পালন করে, তবে কিয়ামতের দিনে সে এবং আমি এভাবে একত্রে থাকবো।” এ কথা বলে রাসূল (সা.) তার দুই আঙ্গুলকে যুক্ত করে দেখান। (মুসলিম)

রাসূল (সা.) এর এই হাদীসের বিবরণ থেকে আমরা জানতে পারি, ইসলামে কন্যা সন্তানের লালন-পালনে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আরবের কঠিন অন্ধকার যুগে অসম্মানের ভয়ে কন্যা সন্তানকে যখন জীবিত দাফন করা হতো, ইসলাম তখন কন্যার প্রতিপালনের পুরস্কারের কথা ঘোষণা করে।

আল্লাহ আমাদের সকলকে আমাদের কন্যাদের যথাযথভাবে পালন করার যোগ্য করে দিন।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: