শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, চৈত্র ১৫ ১৪৩০, ১৯ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকির সম্পত্তি দেখভালে রিসিভার নিয়োগ

 প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকির সম্পত্তি দেখভালে রিসিভার নিয়োগ

বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের স্ত্রী চুমকি কারণের নামে থাকা বিলাসবহুল ছয়তলা বাড়িসহ কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি দেখভালেরিসিভারনিয়োগ হচ্ছেদুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অনুমতির চিঠি পাওয়ার পর আদালতে রিসিভার নিয়োগের আবেদন করা হবে।

রিসিভার নিয়োগ সংক্রান্ত চিঠি প্রধান কার্যালয় থেকে শিগগিরই চট্টগ্রাম দুদক কার্যালয়ে পৌঁছবে বলে জানিয়েছেন উপ-পরিচালক (মিডিয়া) প্রণব সাহা।

এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর প্রদীপ দাশের স্ত্রীর নামে থাকা চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটা এলাকায় দুই কোটি টাকার বেশি মূল্যের ছয়তলা বাড়িসহ চার কোটি ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৭৯ টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেয় আদালত।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালের জানুয়ারি সাব ইন্সপেক্টর হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন প্রদীপ কুমার দাশ। ২০০৯ সালের ১৯ জানুয়ারি তিনি ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি পান। চাকরিতে যোগদানের মাত্র আট বছরের মাথায় ২০০৪ সালে নগরীর পাথরঘাটায় স্ত্রী চুমকি কারণের নামে চার শতক জমি কিনেলক্ষ্মীকুঞ্জনামে একটি ছয়তলা বাড়ি নির্মাণ করেন। জায়গাসহ ওই ভবনটির মূল্য পড়েছে দুই কোটি ১৭ লাখ ২৬ হাজার ৭০০ টাকা।

এছাড়া পাঁচলাইশ থানাধীন পশ্চিম ষোলশহর মৌজার অধীনে গন্ডা কড়া দন্ত জমি চুমকি কারণের নামে বায়না থাকা জায়গাটির মূল্য দেড় কোটি টাকা। এরমধ্যে এক কোটি ২৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা মূল্য পরিশোধ করা হয়েছিল। ওই জমির ওপর তৈরি সেমিপাকা ঘরের মূল্য সাত লাখ টাকা। দুদক এক কোটি ৩৬ লাখ ৯২ হাজার ৬০০ টাকার অবৈধভাবে উপার্জিত ওই সম্পত্তির মূল্য দেখিয়েছে।

এছাড়া চুমকি কারণের নামে কক্সবাজার সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ঝিলংজা মৌজার অধীনে ৭৪০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে। ওই ফ্ল্যাটটির মূল্য ১২ লাখ হাজার ১৭৫ টাকা। আসামিরা ৪০ লাখ ৫৩ হাজার ৬০৪ টাকার অস্থাবর সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করেছেন বলে জানান দুদকের আইনজীবীরা। এরমধ্যে ২০১৩ সালে ক্রয় করা ১৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার বর্তমান মূল্যের একটি পুরাতন মাইক্রোবাস, একই সময় ক্রয় করা পাঁচ লাখ ৪০ হাজার টাকায় একটি প্রাইভেটকার বেসিক ব্যাংক লিমিটেড আসাদগঞ্জ শাখার একটি ব্যাংক হিসাবে থাকা ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ৬০৪ টাকা অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।

চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী জিয়া হাবীব আহসান বলেন, সম্পত্তি ক্রোক করার অর্থ হলো, মামলা চলাকালীন তিনি ওই সম্পত্তি হস্তান্তর বা বিক্রি করতে পারবেন না। মামলা নিষ্পত্তির পর তিনি খালাস পেলে সম্পত্তি তাকে ফেরত দেয়া হবে, নয়তো সরকারি কোষাগারে চলে যাবে।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: