বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১২ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলাম

আল্লাহতাআ-লা তওবাহকারীকে পছন্দ করেন

 প্রকাশিত: ১১:৪১, ১১ এপ্রিল ২০২১

আল্লাহতাআ-লা  তওবাহকারীকে পছন্দ করেন

মানুষ সৃষ্টিগতভাবে  বিভিন্ন  বৈশিষ্ট্যের সমন্বয়ে তৈরি যে তাদের দ্বারা পাপ হতেই পারে। বরং এ ব্যাপারে পরিষ্কার ঘোষণা আছে যে একমাত্র নবীরা ছাড়া কোনো মানুষই পাপমুক্ত নয়। কাজেই গুনাহ হয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে অস্বাভাবিক ও আশ্চর্যের বিষয় হলো গুনাহর পর তার জন্য অনুতপ্ত না হওয়া এবং আল্লাহর দিকে ফিরে না আসা। আল্লাহর নাফরমানি করার পর অনুতপ্ত না হয়ে আনন্দিত হওয়া আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও যুদ্ধ করার নামান্তর।

সুতরাং কোনো বান্দার দ্বারা অনিচ্ছাকৃতভাবে গুনাহ হয়ে গেলে তার কিছু করণীয় রয়েছে। এর দ্বারা গুনাহর ক্ষতি ও শাস্তি কম হবে এবং আল্লাহ চাইলে ক্ষমাও করে দিতে পারেন। সেই করণীয়গুলো হলো—

এক. গুনাহের পর ভালো কাজ : গুনাহ হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে নেক কাজে মনোনিবেশ করা। আবু জার গিফারি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.)  বলেন, ‘তুমি যেখানেই থাকো না কেন, আল্লাহকে ভয় করো। গুনাহর পরপর নেক কাজ করো, তাহলে নেকি গুনাহকে দূরীভূত করে দেবে।’ (তিরমিজি,    হাদিস : ১৯৮৭)। কাজেই গুনাহর পরপর দান-সদকা, কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, জিকির ইত্যাদি ইবাদত করলে পাপ কাজ মাফ হয়ে যায়। তবে কবিরা গুনাহ হলে তাওবা করতে হবে।

দুই. গুনাহর পর ক্ষমা প্রার্থনা : গুনাহর পর ইস্তিগফার পড়া, তাওবা করা জরুরি। কবিরা গুনাহ তাওবা ছাড়া মাফ হয় না। তবে সগিরা বা কবিরা যা-ই হোক, সব গুনাহর পরই ইস্তিগফার করা উচিত এবং খাঁটি মনে তাওবা করা আবশ্যক। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন : ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবা করো—খাঁটি তাওবা। আশা করা যায় তোমাদের রব তোমাদের পাপসমূহ মোচন করবেন...।’ (সুরা : তাহরিম, আয়াত : ৮)

তওবাহকারীকে আল্লাহ ভালোবাসেন : তাওবাকারীকে আল্লাহ ভালোবাসেন, তাকে পছন্দ করেন। বান্দার তাওবায় আল্লাহ কেমন খুশি হন, তার উদাহরণ দেখুন এই হাদিসে—‘আল্লাহ তাঁর বান্দার তাওবায় ওই ব্যক্তি অপেক্ষা বেশি আনন্দিত হন, যে তার উট হারিয়ে ফেলেছে এক জনমানবশূন্য ভয়ংকর প্রান্তরে। উটের পিঠে ছিল খাদ্য ও পানীয়। এরপর সে ঘুমিয়ে পড়ল। জাগ্রত হয়ে সে আবার উটের খোঁজে বের হলো। একসময় তার তৃষ্ণা পেল। সে মনে মনে বলল, যেখানে ছিলাম সেখানে ফিরে যাই। অতঃপর মৃত্যু হওয়া পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকি। মৃত্যু অবধারিত জেনে বাহুতে মাথা রেখে সে ঘুমিয়ে পড়ল। জাগ্রত হয়ে দেখতে পেল, হারিয়ে যাওয়া উট তার পাথেয় ও খাদ্য-পানীয় নিয়ে তার সামনেই দাঁড়িয়ে আছে। এই ব্যক্তি তার উট ও পাথেয় ফিরে পেয়ে যতটুকু খুশি হয়েছে, তার থেকেও অধিক খুশি হন আল্লাহ বান্দার তাওবায়।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৭৪৭)

 

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: