বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১১ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

স্পেশাল

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ভালবাসা

 প্রকাশিত: ১২:৩৬, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ভালবাসা

উৎস:
ইসলাহী নেসাব: হায়াতুল মুসলিমীন
হাকীমুল উম্মত মুজাদ্দিদে মিল্লাত, মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (র:)

১. হযরত আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-

’ তিনটি বস্তু এমন রয়েছে যে, সেগুলো যার মধ্যে থাকবে, তার এগুলোর কারণে ঈমানের মধুরতা লাভ হবে। এক, ঐ ব্যক্তি, যার নিকট আল্লাহ ও তদীয় রাসূল অন্য সবকিছুর চেয়ে অধিক প্রিয় হবে। (অর্থাৎ, তার আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি যে পরিমাণ ভালবাসা রয়েছে, তা অন্য কারো প্রতি নেই)। আরেকজন সেই ব্যক্তি, যার কোন মানুষের সঙ্গে কেবলমাত্র আল্লাহর জন্যই ভালবাসা থাকে। (অর্থাৎ, দুনিয়াবী কোন স্বার্থের কারণে নয়, শুধুমাত্র এ কারণেই ভালবাসা থাকে যে, সে ব্যক্তি আল্লাহওয়ালা)। আরেকজন সেই ব্যক্তি, যাকে আল্লাহ তায়ালা কুফুরী থেকে বাঁচিয়েছেন। (প্রথম থেকেই বাঁচিয়ে রেখেছেন, বা কুফুরী থেকে তওবা করেছে ফলে বেঁচে গিয়েছে) এবং এর (বাঁচানোর) পর সে কুফুরীর দিকে ফিরে আসাকে এই পরিমাণ অপছন্দ করে যেমন কিনা আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়াকে অপছন্দ করে।(বুখারী ও মুসলিম)

২. হযরত আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-

’ তোমাদের কেউ অতক্ষণ পযর্ন্ত পূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পযর্ন্ত নিজের পিতা, নিজের সন্তান এবং সমস্ত মানুষের চেয়ে আমার সঙ্গে অধিক ভালবাসা না রাখবে।’ (বুখারী ও মুসলিম)

৩. হযরত আনাস (রাযিঃ ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-

’ একজন মানুষ ঈমানদার হতে পারে না, যতক্ষণ না সে নিজের পরিবার-পরিজন এবং সমস্ত মানুষের চেয়ে আমাকে অধিক ভালো বাসে।’ (মুসলিম)
বুখারী শরীফে হযরত আবদুল্লাহ বিন হিশামের বর্ণনায় একথাও রয়েছে যে, হযরত উমর (রাযিঃ ) নিবেদন করলেন- হে আল্লাহর রাসূল! নিঃসন্দেহে আপনার প্রতি আমার নিজের প্রাণ ছাড়া সবকিছুর চেয়ে অধিক ভালবাসা রয়েছে। (অর্থাৎ, নিজের প্রাণের সমান আপনার প্রতি আমার ভালবাসা মনে হয় না।) তিনি বললেন- ঐ সত্তার শপথ! যার হাতে আমার প্রাণ, ঐ সময় পযর্ন্ত ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ পযর্ন্ত আমার সঙ্গে নিজের প্রাণের চেয়ে অধিক ভালবাসা না রাখবে। হযরত উমর (রাযিঃ ) নিবেদন করলেন। এখন তো আপনার সঙ্গে আমার প্রাণের চেয়ে অধিক ভালবাসা বুঝতে পারছি। তিনি বললেন, হে উমর! এখন পূর্ণ ঈমানদার হয়েছো।

ফায়দা ঃ বিষয়টিকে সহজে এভাবে বোঝো যে, হযরত উমর (রাযিঃ ) প্রথমে গভীরভাবে চিন্তা না করে ভেবেছিলেন যে, নিজের কষ্টে যে প্রতিক্রিয়া হয় অন্যের কষ্টে সে প্রতিক্রিয়া হয় না। তাই নিজের প্রাণ অধিক প্রিয় মনে হয়, কিন্তু পরে চিন্তা করে বুঝতে পারলেন যে, যদি প্রাণ দানের মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তাহলে হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রাণ বাঁচানোর জন্য প্রত্যেক মুসলমান নিজের প্রাণ দানের জন্যও যে, প্রস্তুত থাকবে, তা নিশ্চিত। একইভাবে তাঁর দ্বীনের জন্য প্রাণ দিতেও কখনো বিমুখ হবে না তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রাণাধিক প্রিয় হলেন।

৪. হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
’ আল্লাহ তাআলাকে ভালবাসো। কারণ, তিনি তোমাদেরকে খাদ্যাকারে বহু নেয়ামত দান করেন। এবং আমাকে (অর্থাৎ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে) ভালবাসো। কারণ, আল্লাহ তাআলা আমাকে ভালবাসেন।’ (তিরমিযী)
ফায়দা ঃ এর অর্থ এই নয় যে, শুধুমাত্র খাদ্য দেন বলেই আল্লাহকে ভালবাসবে; বরং একথার অর্থ হলো, আল্লাহ তাআলার অনন্ত অসীম গুণ ও করুণা কারো বুঝে না আসলে তাঁর এ করুণাটি তো খুবই পরিস্কার, যা কেউ অস্বীকার করতে পারে না। তাই এ কথা বুঝেই তাঁকে ভালোবাসো।

৫. হযরত আনাস (রাযিঃ ) থেকে বর্ণিত আছে যে, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে এক বেদুঈন এলো এবং নিবেদন করলো- ইয়া রাসূলুল্লাহ! কিয়ামত কবে হবে? তিনি বললেন-

’ তুমি তার জন্য কি সামানা তৈরী করেছো? ( যে তুমি তার আসার জন্য আগ্রহান্বিত) সে বললো- আমি তার জন্য খুব বেশী নামায-রোযার সামানা তো তৈরী করিনি, তবে আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ভালবাসি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন- (কিয়ামতের দিন) প্রত্যেক ব্যক্তি তাঁর সঙ্গেই থাকবে, যাকে সে ভালবাসতো। তাই তোমার আমার (অর্থাৎ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের) সঙ্গ নসীব হবে। আর যখন রাসূলের সঙ্গে থাকবে তাহলে আল্লাহর সঙ্গেও থাকবে। হযরত আনাস (রাযিঃ ) বলেন যে, আমি মুসলমানদেরকে ইসলাম গ্রহনের আনন্দের পর কোন বিষয়ে এত আনন্দিত হতে দেখিনি যত এ কথায় তারা আনন্দিত হয়েছেন। (বুখারী ও মুসলিম)

ফায়দা: এ হাদীসে কত বড় সুসংবাদ রয়েছে যে, অধিক ইবাদতের সঞ্চয় না থাকলেও আল্লাহ ও রাসূলের ভালবাসায় এত বড় দৌলত লাভ হবে।

৬. হযরহ আবু যর গিফারী (রাযিঃ ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম ( তাহাজ্জুদ নামাযে) এক আয়াতে সারারাত কাটিয়ে ভোর করেন। আয়াতটি ছিলো এই-

অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আপনি যদি তাদেরকে (আমার উম্মতকে) শাস্তি দেন, তবে তারা আপনারই বান্দা ( অর্থাৎ, আপনি তাদেরকে যা ইচ্ছা করতে পারেন, তাদের উপর আপনার সমস্ত ক্ষমতা আছে), আর যদি আপনি তাদেরকে মাফ করে দেন তবে তাও আপনার জন্য কোন কঠিন কাজ নয়। কারণ, আপনি বড়ই ক্ষমতাশালী( আপনি যত বড় কাজ ইচ্ছা করতে পারেন), বড়ই হিকমতওয়ালা ( আপনার কোন কাজই হেকমত থেকে খালি নয়। তাই গুনাহগারদিগকে মাফ করলে তার মধ্যেও হেকমত থাকবে)। (নাসায়ী, ইবনু মাজা)

ফায়দা ঃ শাইখ দেহলভী (রহঃ) মিশকাত শরীফের টীকায় লিখেছেন যে, ’ আয়াতটি হযরত ঈসা (আঃ) এর সম্প্রদায়ের ব্যাপারে তাঁর উক্তি। সম্ভবতঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ আয়াত দ্বারা স্বীয় উম্মতের অবস্থা মহান আল্লাহর দরবারে পেশ করে তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন।’
শাইখ ’ সম্ভবতঃ’ শব্দটি সতর্কতাস্বরুপ বলেছেন। অন্যথায় এখানে অন্য কোন সম্ভাবনা থাকতেই পারে না। এবার লক্ষ্য করুন! উম্মতের প্রতি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কত বড় মমতা যে, সারা রাতের বিশ্রাম নিজের উম্মতের জন্য কুরবানী করে দু’আ করতে থাকেন এবং সুপারিশ করতে থাকেন। কে এমন হৃদয়হীন রয়েছে যে, এত বড় মমতার কথা শুনেও তাঁর জন্য পাগলপারা হবে না!

৭. হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-

’ আমার (এবং তোমাদের অবস্থা) ঐ ব্যক্তির মতো, যে ব্যক্তি আগুন জ্বালালো এবং তাতে পতঙ্গ উড়ে এসে পড়তে লাগলো আর সে তাদেরকে বাধা দিতে থাকলো, কিন্তু পতঙ্গ তার কথা অমান্য করে আগুনে ঢুকে পড়তে থাকলো। এমনিভাবে আমি তোমাদের কোমর ধরে ধরে আগুন থেকে সরিয়ে দিচ্ছি (কেননা, আমি দোযখে যাওয়ার কাজসমূহ থেকে বাধা দিচ্ছি) আর তোমরা তাতে ঢুকে পড়ছো’।(বুখারী)

ফায়দা: লক্ষ্য করুন! এ হাদীস দ্বারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিজের উম্মতকে দোযখ থেকে বাঁচানোর কত গুরুত্ব বোঝা যায়। এটি ভালবাসা নয়তো আর কি? এমন ভালবাসাপূর্ণ লোকের সঙ্গেও যদি আমাদের ভালবাসা না থাকে তাহলে আমাদের জন্য আফসোস!

৮. হযরত আব্বাস বিন মিরদাস (রাযিঃ ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় উম্মতের জন্য আরাফার দিন বিকালে মাগফিরাতের দু’আ করেন। তাঁকে উত্তর দেওয়া হলো, আমি তাদের ক্ষমা করলাম। তবে বান্দার হক ছাড়া। বান্দার হকের ক্ষেত্রে জালেমের নিকট মজলুমের প্রতিশোধ অবশ্যই নেবো। ( শাস্তি ছাড়া এটা মাফ হবে না)। তিনি নিবেদন করলেন, প্রভু! আপনি চাইলে মজলুমকে তার হকের বদলা জান্নাত দ্বারা দিয়ে জালিমকে মাফ করতে পারেন। কিন্তু সেদিন বিকেলে এ দু’আ কবুল হয়নি। তারপর যখন মুযদালিফায় ভোর হলো, তখন তিনি পুনরায় ঐ দু’আই করলেন। তখন তার দু’আ কবুল করা হলো। তখন তিনি হাসলেন। হযরত আবু বকর (রাযিঃ) এবং হযরত উমর (রাযিঃ) হাসির কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন- ইবলিস যখন জানতে পারলো যে, আল্লাহ তাআলা আমার দু’আ কবুল করেছেন এবং আমার উম্মতকে মাফ করে দিয়েছেন, তখন সে মাটি নিয়ে নিজের মাথায় নিক্ষেপ করছিলো, আর বিলাপ করছিলো। তার এই অস্থিরতা দেখে আমার হাসি পেয়ে যায়।(ইবনু মাজা, বায়হাকী)
ফায়দা ঃ এ হাদীসের অর্থ এই নয় যে, সবধরনের বান্দার হকই শাস্তি ছাড়াই মাফ হয়ে যাবে এবং এ অর্থও নয় যে, বিশেষ করে হজ্জ করার দ্বারা শাস্তি ছাড়া মাফ হয়ে যাবে। বরং এ দু’আ কবুল হওয়ার পূর্বে দু’টি সম্ভাবনা ছিলো- এক. বান্দার হকের শাস্তিস্বরুপ চিরদিনের জন্য জাহান্নামে থাকতে হবে। দুই. চিরদিনের জন্য জাহান্নামে থাকতে না হলেও তার শাস্তি অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু এ দু’আ কবুল হওয়ার পর দু’টি প্রতিশ্রুতি হলো, প্রথম এই যে, শাস্তিপ্রাপ্তির পর এক সময় না একসময় অবশ্যই মুক্তি লাভ হবে। দ্বিতীয় এই যে, কোন কোন সময় মাজলুমকে বহু নেয়ামত দিয়ে সম্মত করা হবে এবং শাস্তি ছাড়াই মুক্তি লাভ হবে।

ফায়দা: চিন্তা করে দেখো! এ বিধানটি মঞ্জুর করানোর জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কি পরিমাণ চিন্তা ও কষ্ট হয়েছে। এখনও কি অন্তরে তাঁর ভালবাসার ঢেউ উঠে না!

৯. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস(রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে- যার সারকথা এই যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ আয়াতগুলো পাঠ করলেন যে, যার মধ্যে হযরত ইবরাহীম (আঃ) এবং হযরত ঈসা (আঃ) এর নিজ নিজ উম্মতের জন্য দু’আ উল্লেখিত রয়েছে তারপর (দু’আর জন্য) নিজের উভয় হাত উঠালেন এবং নিবেদন করলেন- হে আল্লাহ! আমার উম্মত! আমার উম্মত! আল্লাহ তাআলা বললেন- হে জিবরাঈল! মুহাম্মাদ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট যাও! (তোমার প্রভু তো জানেনই তারপরও) তাঁকে জিজ্ঞাসা করো! আপনি কেন কাঁদছেন? তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট জিজ্ঞাসা করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তরে যা কিছু বললেন, তা তিনি আল্লাহকে বললেন। আল্লাহ তাআলা জিবরাঈল (আঃ) কে বললেন- তুমি মুহাম্মাদ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট যাও এবং বলো, আমি আপনাকে আপনার উম্মতের বিষয়ে খুশী করবো। আপনাকে কষ্ট দেবো না”(মুসলিম)
ফায়দা: ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন যে, ’ তিনি তো কস্মিনকালেও খুশী হবেন না, যদি তাঁর উম্মতের একটি লোকও দোযখে থাকে’। ( খতীবের সূত্রে দুররে মানসুর) আর আল্লাহ তাআলা তাঁকে খুশী করার ওয়াদা করেছেন। তাই ইনশা আল্লাহ তাঁর একজন উম্মতও দোযখে থাকবে না। হে মুসলমানগণ! এ সমস্ত দৌলত এবং নেয়ামত যে সত্তার বরকতে লাভ হলো তাঁকেও যদি ভালো না বাসো তবে আর কাকে ভালবাসবে?

১০. হযরত উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, এক ব্যক্তির নাম ছিলো আবদুল্লাহ এবং উপাধি ছিলো হিমার। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে মদপানের অপরাধে শাস্তি দিয়েছিলেন। একই অপরাধে তাকে পুনরায় আনা হলো। শাস্তির নির্দেশ হওয়ায় এবারেও শাস্তি দেওয়া হলো। এক ব্যক্তি বললো- হে আল্লাহ! তার উপর লা’নত করুন। (একই অপরাধে) কত বার তাকে আনা হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- এর উপর অভিশম্পাত করো না। আল্লাহর কসম! আমি জানি, সে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলকে ভালোবাসে। (আবু দাউদ)

ফায়দা ঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ভালবাসার কত মূল্যায়ন করা হলো যে, এত বড় গুনাহর কাজ করার পরও তার উপর অভিশম্পাতের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
হে মুসলমানগণ! বিনামূল্যে এমন সম্পদ- যার মধ্যে না কোন কষ্ট আছে, না কোন পরিশ্রম- কোথায় লাভ হয়? একে হাতছাড়া হতে দিও না। নিজের শিরায় শিরায় আল্লাহ ও রাসূলের প্রেম ও ভালবাসা কানায় কানায় পূর্ণ ও বদ্ধমূল করো।
( এ হাদীসগুলো মেশকাত শরীফে রয়েছে। একটি হাদীস রয়েছে দুররে মানসূরের, যার শেষে এর নাম লিখে দেওয়া হয়েছে)

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: