মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১০ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারের ওপর জাতিসংঘের অস্ত্রনিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব

 প্রকাশিত: ১১:৫২, ১৯ জুন ২০২১

মিয়ানমারের ওপর জাতিসংঘের অস্ত্রনিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব

সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিবাদ এবং গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনরত মানুষের ওপর সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন ও হত্যাযজ্ঞের কারণে মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের এই আহ্বানকে বিরল বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

গত ফেব্রুয়ারিতে সামরিক জান্তা দেশটির নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা নেয়ারও নিন্দা প্রস্তাব করেছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। এছাড়া জাতিসংঘ নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চিসহ দেশটির রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সংহিসতা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। আইনগত বাধ্যবাধকতা না থাকলেও জাতিসংঘের এই আহ্বান খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

মিয়ানমানে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিয়ান শারনার বার্গনার সাধারণ পরিষদকে বলেছেন, দেশটিতে বড় পরিসরে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা সত্যির পথে যাচ্ছে। সময়ই মূল কথা। সামরিক অধিগ্রহণের বিপরীতে সেখানে সুযোগ খুব সীমিত।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব আহ্বানের পর ১১৯ দেশ এতে সমর্থন জানিয়েছে। শুধু বেলারুশ এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। অবশ্য এই প্রস্তাবের বাইরে আছে আরও ৩৬ দেশ। যার মধ্যে মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহকারী রাশিয়া ও চীন রয়েছে। এদের মধ্যে কোনো কোনো দেশ বলেছে, বিষয়টি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ।

তারা বলছে, চার বছর আগে যখন সামরিক বাহিনী মিয়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন চালায়, প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে দেশছাড়া করে তখন সাধারণ পরিষদ এমন কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের জাতিসংঘের দূত অলোফ স্কুগ বলেন, প্রস্তাবটি সামরিক জান্তার প্রতিনিধিত্ব করে। নিজেদের লোকদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও সহিংসতার নিন্দা জানায় এবং একই সঙ্গে বিশ্বের চোখে বিষয়টির বিচ্ছিন্নতা দেখায়।

তবে দেশটির নির্বাচিত বেসামরিক সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী মিয়ানমারের জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত কিয়াউ মো তুন বলেন, সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি সম্পর্কে তিনি ‘জলস্রোত’ দেখেছেন, তবে প্রস্তাব পাস করতে যতটা সময়ক্ষেপণ হয়েছে তাতে হতাশ হয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা এক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে দেশটির ক্ষমতা দখল করে। এরপর সেখানে কয়েক শ মানুষ মারা যায় সামরিক বাহিনীর গুলিতে।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: