শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ৬ ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

স্পেশাল

কুমিল্লায় পৌনে চারশ বছরের পুরনো দৃষ্টিনন্দন মসজিদ

 প্রকাশিত: ১০:৫৫, ৫ আগস্ট ২০২২

কুমিল্লায়  পৌনে চারশ বছরের পুরনো দৃষ্টিনন্দন মসজিদ

কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বড় শরীফপুর। এ গ্রামে ১৬৫৭ সালে নির্মিত হয় একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। মসজিদটি এখনও আগের মতো রয়েছে। প্রায় পৌনে চারশ’ বছরেও এটির সৌন্দর্য নষ্ট হয়নি। চুন সুরকীর মসজিদটি দেখতে প্রতিদিনই সেখানে মানুষ ভিড় জমান। অনেকে এসে নামাজ পড়েন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মসজিদের বাইরের দৈর্ঘ্য ১৪.৪৮ মিটার ও প্রস্থ ৫.৯৪ মিটার। মসজিদের উপরে তিনটি গম্বুজ রয়েছে। গম্বুজে পদ্মফুলের নকশা রয়েছে। মসজিদের সামনের দেওয়ালে ফার্সি ভাষায় শিলালীপি রয়েছে। সেখানে উল্লেখ আছে জনৈক হায়াতে আবদুল করিম মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। হায়াতে আবদুল করিমের পরিচয় নিয়ে দুইটি মত রয়েছে, একটি হচ্ছে তিনি নাটেশ্বর নামে এক রাজার কর্মকর্তা ছিলেন। আরেকটি মত, তিনি শাহ সৈয়দ বাগদাদী নামে একজন দরবেশের মুরিদ ছিলেন।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি মোতাহার হোসেন চৌধুরী বলেন, বড় শরীফপুরের এই মসজিদটি দেখতে প্রতিদিনই মানুষ আসেন। এ মসজিদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। মসজিদের ভেতরে বাইরে মিলিয়ে পাঁচ শতাধিক মানুষ নামাজ পড়তে পারেন।

কুমিল্লাস্থ মনোহরগঞ্জ জনকল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেলা সদর থেকে মসজিদটি ৪০ কিলোমিটার ও উপজেলা সদর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এ মসজিদের একদিকে ডাকাতিয়া নদী, অন্যদিকে নরহ খাল। অপরদিকে মনোহরগঞ্জ-হাসনাবাদ সড়ক। পেছনে রয়েছে বিশাল নাটেশ্বর দিঘি। একটু অদূরে মাজার শরীফ। এখানে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠতে পারে।

এ বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক এ কে এম সাইফুর রহমান বলেন, এটি জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন মসজিদ। এটি বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতায় সংরক্ষিত। এখানে একটি প্রত্নতত্ত্ব পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

মন্তব্য করুন: