শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, চৈত্র ১৫ ১৪৩০, ১৯ রমজান ১৪৪৫

বিজ্ঞান

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে গ্রহাণু

 প্রকাশিত: ০৯:৫৪, ৮ অক্টোবর ২০২১

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে গ্রহাণু

ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণু। খুবই চিন্তার বিষয়, ছোটখাটো হলে চিন্তা নেই কিন্তু যত বড় আকার হবে তত বিপদ। গ্রহাণু পৃথিবীর কোনও জনবহুল এলাকায় এসে পড়লে হবে প্রাণক্ষয় এবং সম্পত্তিক্ষয়। তবে রক্ষা পাওয়ার উপায় বের করেছে নাসা।

তবে পৃথিবীর ধারেকাছে আসার আগে মহাকাশেই ওই গ্রহাণুকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী নভেম্বরেই প্রথম পরীক্ষামূলক মিশন রকেট পাঠাচ্ছে নাসা। তবে এই মিশনে কোনও মহাকাশচারী থাকবে না।
আগামী ২৩ নভেম্বর  ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট মিশন লঞ্চ করতে চলেছে নাসা। এই মিশনের লক্ষ্য ভবিষ্যতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা উল্কা, গ্রহাণু বা অ্যাস্টেরয়েডকে পথ থেকে সরিয়ে দেবে। এর জন্য ডিডাইমোস নামক এক অ্যাস্টেরয়েডকে পরীক্ষার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।

তবে এই ডার্ট মিশন হল নাসার প্রথম প্ল্যানেটরি ডিফেন্স মিশন। মহাকাশে একটি যান পাঠানো হবে যা ৬.৬ কিমি প্রতি সেকেন্ডে আঘাত করবে অ্যাস্টেরয়েডের উপগ্রহকে, বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে মুনলেট বলা হয়। এই ধাক্কার ফলে উপগ্রহটির আবর্তন গতি এক শতাংশ কমে যাবে। তাতে প্রদক্ষিণের সময়সীমা বদলে যাবে অনেকটাই।  

এদিকে ২৩ নভেম্বর স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ২০-তে ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যান্ডেনবার্গ বিমান ঘাঁটি থেকে ছাড়া হবে একটি স্পেস-এক্স ফ্যালকন ৯ রকেট। মহাকাশে এক বছর ওড়ার পর ডিডিমোস এবং তার উপগ্রহ ডিমর্ফোসের কাছে পৌঁছাবে সেটি। পৃথিবী থেকে গ্রহাণুটির দূরত্ব তখন ১.১ কোটি কিলোমিটার। শুনতে বহু দূর মনে হলেও পৃথিবী থেকেই টেলিস্কোপের সাহায্যে নজরদারি চালাবেন বিজ্ঞানীরা।
 
অন্যথায় ,ডিডিমোস গ্রহাণুটি আবিষ্কৃত হয়েছিল ১৯৬৯ সালে। কিন্তু তার যে আবার এক 'চাঁদ' আছে তা জানা যায় ২০০৩ সালে। ডিডিমোসের ব্যাস ৭৮০ মিটার এবং ডিফর্মোসের ৫২৫ ফুট। নাসার এই পরীক্ষা সফল হলে ভবিষ্যতে এই উপায়ে আরও মহাজাগতিক বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে বলে আশা বিজ্ঞানীদের।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: