রোববার ০২ নভেম্বর ২০২৫, কার্তিক ১৮ ১৪৩২, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ইসলাম

যে ৭টি স্থানে নামাজ পড়া হারাম

 প্রকাশিত: ১০:৫১, ২ নভেম্বর ২০২৫

যে ৭টি স্থানে নামাজ পড়া হারাম

নামাজ ইসলামের অন্যতম মৌলিক স্তম্ভ। প্রতিদিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়মতো আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরজ। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে ঘোষণা করেন:

“নিশ্চয়ই নামাজ মুমিনদের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ করা হয়েছে।”

(সূরা আন-নিসা: ১০৩)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি সেগুলো যথাযথভাবে আদায় করবে এবং অবহেলা করবে না, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।” (সুনান আবু দাউদ: ১৪২০)

নামাজের জন্য প্রয়োজন পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন স্থান। রাসুল (সা.) বলেছেন: “সমস্ত পৃথিবী আমার উম্মতের জন্য পবিত্র ও মসজিদরূপে করা হয়েছে।” (সহিহ বুখারি: ২৯৭৭)

অর্থাৎ, পৃথিবীর যেকোনো পরিষ্কার জায়গায় নামাজ পড়া যায়। কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট স্থানে নামাজ আদায় করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

রাসুল (সা.) যে ৭টি স্থানে নামাজ পড়তে নিষেধ করেছেন:

হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত: রাসুলুল্লাহ (সা.) সাত স্থানে নামাজ পড়তে নিষেধ করেছেন:

১.আবর্জনার স্থান

২.জবাইখানা

৩.কবরস্থান

৪.পথঘাট বা রাস্তার মাঝখান

৫.টয়লেট বা বাথরুম

৬.উটের খোঁয়াড় বা গোয়ালঘর

৭.কাবা শরিফের ছাদ

(জামে তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)

অন্য এক হাদিসে হজরত আবু সাঈদ আল-খুদরী (রা.) বর্ণনা করেন:

“সমস্ত জমিন নামাজের জায়গা, তবে কবরস্থান ও বাথরুম ব্যতীত।” (সুনান আবু দাউদ: ৪৯২)

কেন এই স্থানগুলোতে নামাজ নিষিদ্ধ?

নাপাকি ও অপবিত্রতা: আবর্জনা, জবাইখানা, টয়লেট—এসব স্থান অপবিত্র।

শিরকের আশঙ্কা: কবরস্থানে নামাজ পড়লে কবরপূজার ভুল ধারণা হতে পারে।

নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা: পথঘাটে নামাজে বিঘ্ন ঘটে, মানুষের চলাচলে বাধা পড়ে।

বিশেষ সম্মান: কাবার ছাদে নামাজ পড়া কাবার মর্যাদার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

নামাজের প্রতি যত্নশীল হোন, স্থান নির্বাচনে সতর্ক থাকুন। আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিকভাবে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।