শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, চৈত্র ১৫ ১৪৩০, ১৯ রমজান ১৪৪৫

ইসলাম

মিসওয়াক করার গুরুত্ব ও ফজিলত

 প্রকাশিত: ১২:২১, ২০ এপ্রিল ২০২১

মিসওয়াক করার গুরুত্ব ও ফজিলত

মিসওয়াক করা প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নত। মিসওয়াক করার মাঝে রয়েছে ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণ ও উপকারিতা। তাই রাসূল (সা.) মিসওয়াকের প্রতি বিশেষ যত্নবান ছিলেন এবং উম্মতকেও এ ব্যাপারে বিশেষভাবে তাগিদ দিয়েছেন।
মিসওয়াকের গুরুত্ব
হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘এমনটি কখনো হয়নি যে, জিবরাইল (আ.) আমার নিকট এসেছেন, আর আমাকে মিসওয়াকের আদেশ দেননি। এতে আমার আশঙ্কা হচ্ছিল যে, (মিসওয়াকের কারণে) আমার মুখের অগ্রভাগ ছিলে না ফেলি।’ (মুসনাদে আহমদ)

অন্য হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, আমি যদি উম্মতের ওপর (কষ্ট হবার) আশঙ্কা না করতাম, তাহলে প্রত্যেক নামাজেই মিসওয়াক করার আদেশ দিতাম (বুখারী, মুসলিম)

মিসওয়াক করার ফজিলত
মিসওয়াকের বহু ফজিলত হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, মিসওয়াক মুখের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যম ও আল্লাহর সন্তুষ্টির উপায় (নাসায়ী)

অন্য এক হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, মিসওয়াক করে যে নামাজ আদায় করা হয়, সে নামাজে মিসওয়াকবিহীন নামাজের তুলনায় সত্তরগুণ বেশি ফজিলত রয়েছে (বাইহাকী)

আবূ হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী  (সা.) বলেছেন, মু’মিনদের জন্যে এবং যুহায়র-এর বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, আমার উম্মাতের জন্য যদি কষ্টসাধ্য না হতো, তাহলে অবশ্যই তাদেরকে প্রত্যেক সলাতের সময় মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম। (সহীহ মুসলিম-৪৭৭; ই.ফা. ৪৮০; ই.সে. ৪৯৬)

মিকদাম-এর পিতা শুরায়হ (রহ.) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশা (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর ঘরে ঢুকে সর্বপ্রথম কোন্‌ কাজটি করতেন? তিনি বললেন, সর্বপ্রথম মিসওয়াক করতেন। (সহীহ মুসলিম-৪৭৮; ই.ফা. ৪৮১; ই.সে. ৪৯৭)

হুযাইফাহ্‌ (রা.) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)  যখন তাহাজ্জুদের জন্যে উঠতেন তখন মিসওয়াক দ্বারা ঘষে মুখ পরিষ্কার করতেন। (সহীহ মুসলিম-৪৮১; ই.ফা.৪৮৪; ই.সে. ৫০০)  

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: