মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১০ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

করোনা শূন্য চট্টগ্রামে ডেঙ্গু জ্বরে একজনের মৃত্যু

 প্রকাশিত: ১৬:৫১, ২৭ নভেম্বর ২০২২

করোনা শূন্য চট্টগ্রামে ডেঙ্গু জ্বরে একজনের মৃত্যু

করোনা শূন্য চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ডায়রিয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ডেঙ্গু, করোনা ও ডায়ারিয়া সংক্রান্ত আজ পাঠানো পৃথক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন অফিসের ডেঙ্গু কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, ডেঙ্গু জ¦রে মৃত্যুবরণকারী ৫০ বছর বয়সী রফিকুল ইসলাম নগরীর বায়েজিদ এলাকার বাসিন্দা। এ নিয়ে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে ৩২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় আরো ৪৯ জন নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সরকারি ল্যাবরেটরিতে ১৬ জন ও বেসরকারি পরীক্ষাগারে ৩৮ জনের ডেঙ্গুর সংক্রমণ শনাক্ত হয়। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১১২ জন। গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৪ হাজার ৫১৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ হাজার ৪০১ রোগি চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। 

চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত প্রতিবেদনে জানা যায়, করোনা পরীক্ষার জন্য ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর চার ল্যাবরেটরিতে গতকাল চট্টগ্রামের ৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় নতুন কারো শরীরে করোনারভাইরাসের সংক্রমণ মেলেনি। ফলে জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৫০৬ জনই রয়েছে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৪ হাজার ৪৩০ জন এবং গ্রামের ৩৫ হাজার ৭৬ জন। করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৮ জন রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৭ জন ও গ্রামের ৬৩১ জন।

এদিকে, ডায়ারিয়া সম্পর্কিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার মধ্যে কর্ণফুলী ছাড়া বাকী ১৪ টিতে ১৪০ জন ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ১৯ জন আক্রান্ত হয় হাটহাজারী উপজেলায়। একই সময়ে জেলায় সুস্থ হয়ে ওঠেছেন ১০০ জন।
ডেঙ্গু ও করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস হোসেন চৌধুরী আজ অপরাহ্নে বাসস’কে জানান, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোটামুটি কমে গেছে। তারপরও পুনরায় যেন কোনো জটিল পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেজন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
ডেঙ্গুজ¦রের প্রকোপ নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগও চিন্তিত। দিন-রাতের যেকোনো সময় ঘুমাতে গেলে মশারি ব্যবহার করা উচিৎ। এছাড়া, অন্য সময়ও মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ডেঙ্গু মশার প্রজনন ঘটে এমন কোনো পরিবেশ ঘরে বা আশেপাশে সৃষ্টি করা যাবে না।’
ডায়ারিয়ার প্রকোপ সম্পর্কে ডা. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, ‘সারাবছরের সাধারণ চিত্র এটি। জনসংখ্যা অনুপাতে চট্টগ্রামে ৪ শতাধিক আক্রান্ত হলে আমাদের বিশেষ টিম এলাকায় যায়। এখনও ২৮৪ টিম মাঠে কাজ করছে।’   
 

মন্তব্য করুন: