শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ৬ ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের করোনার পরীক্ষামূলক টিকাদান কার্যক্রম শুরু

 আপডেট: ১৬:৩৩, ১১ আগস্ট ২০২২

৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের করোনার পরীক্ষামূলক টিকাদান কার্যক্রম শুরু

দেশের পাঁচ থেকে এগার বছর বয়সী শিশুদের করোনাভাইরাসের পরীক্ষামূলক টিকাদান কার্যক্রম শুরু হলো। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের আবুল বাশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে এই কার্যক্রমের শুরু হলো।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক আজ বেলা সাড়ে ১২টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। 

পরীক্ষামূলক এই টিকাদান কার্যক্রমের জন্য আবুল বাশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্বাচিত ১৬ শিক্ষার্থীকে সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। তাদের টিকা দেওয়ার জন্য সারি বেঁধে দাঁড় করান স্বাস্থ্য কর্মীরা। 

সব শিশুকেই পর্যায়ক্রমে টিকা দেওয়া হয়। টিকাদান শেষে শিশুদের সবাইকে রঙিন বেলুন উপহার দেওয়া হয়।

এই সময় সেখানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক ছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকরা। 

সারাদেশে ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আজ শুরু হলো ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনাভাইরাসের পরীক্ষামূলক টিকাদান কার্যক্রম। 

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করে বলেন, ‘‘আজ আমরা পরীক্ষামূলকভাবে টিকা দিচ্ছি। আগামী ২৫ অগাস্ট ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে শিশুদের টিকা দেব। প্রথমে সিটি করপোরেশন এলাকায় তারপর পর্যায়ক্রমে আমরা সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিশুদের টিকা দেওয়া হবে।’’

তিনি বলেন, শিশুদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৩০ লাখ ডোজ পাওয়া গেছে। বাকি টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে। 

এর মধ্যে ১২ থেকে ১৮ বছরের ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থীকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি জানান, দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ৮৩ শতাংশ।

তিনি বলেন, ‘‘কোভিড মহামারীর কারণে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এখন এই শিশুদের টিকা দেওয়ার মাধ্যমে তাদের সুরক্ষার আওতায় আনা হচ্ছে। তাদের টিকা দেওয়ার পর শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে আর কোনো বাধা থাকবে না।’’

দেশে ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ষাটোর্ধ্বদের টিকা দেওয়া শুরু হয়। এর পর পর্যায়ক্রমে টিকা নেওয়ার নির্ধারিত বয়সসীমা কমিয়ে  ১৮ বছরে আনা হয়।

পরে গত বছর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় আনা শুরু হয়। এর পর বয়স্কদের মধ্যে বুস্টার বা তৃতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়।
 

মন্তব্য করুন: