মঙ্গলবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, অগ্রাহায়ণ ২৫ ১৪৩২, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

ব্রেকিং

তফসিলের পর অনুমোদনহীন আন্দোলন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ছাড়াল ৪০০ প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ আরও কয়েকটি এলাকায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা বেগম রোকেয়াকে ‘কাফির-মুরতাদ’ বললেন রাবি শিক্ষক শত বছরেও কেন আরেকজন রোকেয়া তৈরি হলো না, আক্ষেপ প্রধান উপদেষ্টার দেশের বাইরে যেতে চান না খালেদা জিয়া নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র জনগণ রুখে দেবে: নজরুল ফের সংঘর্ষে জড়াল ঢাকা কলেজ ও আইডিয়ালের শিক্ষার্থীরা ডিসেম্বরে এক লাখ ভ্যাট নিবন্ধনের লক্ষ্য এনবিআরের থাই হামলায় কম্বোডিয়ার নিহত বেড়ে ৬ লেবাননে হিজবুল্লাহর স্থাপনায় হামলার দাবি ইসরাইলি সেনাবাহিনীর লন্ডনযাত্রা স্থগিত, আপাতত ঢাকাতেই চলবে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত, হত্যাচেষ্টার অভিযোগ থানায় টানা ৪ দিন পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে আফগান সীমান্তের কাছে ‘জঙ্গি হামলায় ৬ পাকিস্তানি সেনা নিহত’ উত্তর-পূর্ব জাপানে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে আহত অন্তত ৩০

জাতীয়

তফসিলের পর অনুমোদনহীন আন্দোলন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে

 প্রকাশিত: ১৮:২৪, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫

তফসিলের পর অনুমোদনহীন আন্দোলন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে

আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। তফসিল ঘোষণার পর সব ধরনের বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন পর্যন্ত যেকোনো ধরনের বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে এমন আন্দোলন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যারা বেআইনিভাবে সভা-সমাবেশে অংশ নেবেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

এতে আরও জানানো হয়, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর হয়— বর্তমানে এটিই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল লক্ষ্য। একটি সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের জন্য যা যা করণীয় সরকার সেইদিকেই মনোনিবেশ করছে।

নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর সশস্ত্র বাহিনীসহ দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সকল বাহিনী নির্বাচনী পরিবেশ যাতে নিশ্চিত হয় সে লক্ষ্যে কাজ করবে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর প্রায় নয় লাখ সদস্য নিয়োজিত থাকবে, যা এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যেই রেকর্ডসংখ্যক দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “আমরা জানি, অনেকেরই নায্য দাবি-দাওয়া রয়েছে। গত দেড় বছরে দুই হাজারের বেশি আন্দোলন-বিক্ষোভ সংগঠিত করে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আন্দোলনকারীরা দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করেছেন। সরকার নায্য দাবিতে সবসময়ই সাড়া দিয়েছে, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানে পৌঁছাতে চেষ্টা করেছে।

কিন্তু আমরা এখন নির্বাচনমুখী সময়ে আছি। এ কারণে, সকলের যা কিছু দাবি-দাওয়া আছে তা নির্বাচন পরবর্তী সরকারের কাছে উপস্থাপনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। আমরা আশা করব, এসময়ের মধ্যে কেউ দাবি-দাওয়া নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি বা স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্ন করবেন না।”