বুধবার ১২ নভেম্বর ২০২৫, কার্তিক ২৮ ১৪৩২, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ব্রেকিং

শপথ নিলেন ২২ বিচারপতি কেরাণীগঞ্জে শিশুকে অপহরণের পর হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার অভিযোগ রমনা থানার সামনে পুলিশের গাড়িতে আগুন, উত্তরায় মাইক্রোবাসে এবার মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলে পেট্রোলবোমা গাজীপুরে তিন বাসে আগুন ঢাবির পাঁচ ভবনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের তালা ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে ২০২৬ সালের হজ চুক্তি স্বাক্ষরিত শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যা: ২ শ্যুটারসহ গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘নিখোঁজ’ কর্মকর্তা মাদারীপুরে উদ্ধার আশুলিয়ায় দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন জর্জিয়ায় ২০ আরোহীসহ তুরস্কের সামরিক বিমান বিধ্বস্ত তারেক রহমান নভেম্বরের শেষ নাগাদ দেশে ফিরছেন: সালাহউদ্দিন

জাতীয়

কেরাণীগঞ্জে শিশুকে অপহরণের পর হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড

 প্রকাশিত: ১৪:১৮, ১২ নভেম্বর ২০২৫

কেরাণীগঞ্জে শিশুকে অপহরণের পর হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড

দেড় বছর আগে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে মাদ্রাসা ছাত্র তাওহীদ ইসলামকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে এক আসামির ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান বুধবার এ রায় দেন।

হত্যার অপরাধে আসামি মো. মকবুল হোসেনকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে রায়ে।

এছাড়া অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ধারায় তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আসামির স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে অর্থদণ্ডের টাকা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকেদিতে ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এরশাদ আলম জর্জ জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর এলাকার রসুলপুর জামিআ ইসলামিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায় নাজেরা বিভাগে পড়াশোনা করতো ১০ বছর বয়সি তাওহীদ ইসলাম। গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সে মাদ্রাসায় যায়। রাত সাড়ে ৮টায় ক্লাস শেষে মামা মহসিনের দোকানে যায়। তবে মামাকে না পেয়ে একাই বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় সে।

পথে মকবুল হোসেন তাকে অপহরণ করে পরিবারের কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরের দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আসামির পছন্দ মতো জায়গায় মুক্তিপণ রেখে আসে ভুক্তভোগীর মামা। টাকা পেয়েও আসামি শিশুটিকে ফেরত দেয়নি। পরে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে মকবুলকে গ্রেপ্তার করে। সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয় তাওহীদের লাশ।

এ ঘটনায় পরদিন নিহতের মা মোসা. তাসলিমা আক্তার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার এসআই এ কে এম সাইদুজ্জামান গত বছরের ৩১ জুলাই মকবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে। আসামির আত্মপক্ষ শুনানি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ট্রাইব্যুনাল থেকে বুধবার রায় ঘোষণা করল।

রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে আসেন তাওহীদের পরিবার ও স্বজনরা। রায় শুনে তাসলিমা আক্তার, তার বোন ও নানী কান্নায় ভেঙে পড়েন।

রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মা তাসলিমা বলেন, আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে তাদের আত্মা শান্তি পাবে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মকবুল হোসেন ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার লাখিরচর এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে।