রোববার ০২ নভেম্বর ২০২৫, কার্তিক ১৮ ১৪৩২, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ব্রেকিং

‘হযবরল’ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে শৃঙ্খলায় আনার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার ‘শাপলা কলি’তেই রাজি এনসিপি ‘অনৈক্যের’ জন্য বিএনপি-জামায়াত সমানভাবে ‘দায়ী’: নাহিদ ইসলাম ভোটার বেড়ে দাঁড়াল ১২ কোটি ৭৬ লাখ ক্যান্সার নিয়ে সর্বজনীন সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার হাসিনাসহ রেহানা পরিবারের তিন মামলায় আরও ১১ জনের সাক্ষ্য কুষ্টিয়ায় ৬ হত্যা: হানিফসহ ৪ জনের বিচার শুরুর আদেশ মানবতাবিরোধী অপরাধে ইনুর বিচার শুরুর আদেশ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ ঢাকার কাতারের নিরাপত্তা হুমকির বিরুদ্ধে সংহতি পুনর্ব্যক্ত বাংলাদেশের গাইবান্ধায় চোর সন্দেহে গণপিটুনি, ৩ জনের মৃত্যু মোনথার প্রভাবে বৃষ্টি, সাগরে ফের লঘুচাপের আভাস যুক্তরাজ্যে ট্রেনে ছুরিকাঘাত, হাসপাতালে ১০ জন বিশ্বকাপের তিন মাস আগে টি-টোয়েন্টিকে বিদায় উইলিয়ামসনের

জাতীয়

মানবতাবিরোধী অপরাধে ইনুর বিচার শুরুর আদেশ

 প্রকাশিত: ১৪:২৯, ২ নভেম্বর ২০২৫

মানবতাবিরোধী অপরাধে ইনুর বিচার শুরুর আদেশ

জুলাই আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ায় সাত জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

রোববার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ এ আদেশ দেয়।

আগামী ২৩ নভেম্বর এ মামলায় প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের দিন ঠিক করা হয়েছে।

চব্বিশের অভ্যুত্থানে কুষ্টিয়ায় সাতজনকে হত্যাসহ আট অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা করা হয় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে।

২০২৪ সালের ২৬ অগাস্ট রাজধানীর উত্তরা থেকে হাসানুল হক ইনুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিভিন্ন মামলায় হেফাজতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

কৌঁসুলি মিজানুল ইসলাম অভিযোগ দাখিলের দিন ২৫ সেপ্টেম্বর বলেছিলেন, “হাসানুল হক ইনু ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক এবং জাসদের সুপ্রিম। তিনি নিয়মিত শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিতেন এবং তিনি ঊর্ধ্বতন অবস্থান থেকে স্থানীয় এসপি এবং তার দলীয় ক্যাডার বাহিনীকে বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা দিতেন।

“শেখ হাসিনাকে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগ, এর অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন সশস্ত্র ক্যাডারদেরকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংগঠনে নির্দেশনা দিতেন।”

ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা ও হাসানুল হক ইনুর ফেনালাপ দাখিল করার কথা উল্লেখ করে কৌঁসুলি মিজানুল বলেছিলেন, গত বুধবার ওই ফোনালাপ ট্রাইব্যুনাল-১ এ দাখিল করা হয়েছিল। সেই ফোনালাপ ট্রাইব্যুনাল-২ এ দাখিল করা হয়েছে বিশেষষজ্ঞ মতামত এবং ওই ফোনালাপের ট্রান্সক্রিপ্টসহ।

মিজানুল বলেছিলেন, ইনু ভারতের ‘মিরর নাউ’ নামক একটি অনলাইন পোর্টালে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, নিউজ ২৪ নামের টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, আরও একটা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।

“এছাড়া দেখামাত্র গুলির নির্দেশের যে অর্ডার দিয়েছেন, সেসব আনুষ্ঠানিক অভিযোগে রাখা হয়েছে।”

অভিযোগের মধ্যে আরও রয়েছে- ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে নির্দেশনা; ড্রোন ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করে আন্দোলনকারী নিরস্ত্র নিরীহ জনতাকে চিহ্নিত করা; ছত্রীসেনা নামিয়ে বম্বিং করা, গুলি করা; এসব নির্দেশনা স্থানীয় কুষ্টিয়ার এসপিকে অবহিত করা।

মিজানুল বলেছিলেন, “কথোপকথনে আরও বলেন, আন্দোলনকারীদের ধরা হবে, তারপর স্ক্রলে নিউজে আসবে যে তাদের জেলখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু ছেড়ে ছেড়ে দেওয়া হবে আরকি – মানে তাদের মেরে ফেলা হবে।

“এছাড়া ফোনালাপ থেকে যেটা উঠে এসেছে, জঙ্গি নাটকের কার্ডটা খেলতে হবে। আন্দোলনকারীদেরক জঙ্গি বলা হবে, তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হবে। এটা প্রচার করা হবে যে জঙ্গি আক্রমণে তারা নিহত হরয়েছেন। ৫ অগাস্ট কারফিউ উঠিয়ে দিয়ে প্রতিটা ওয়ার্ড থেকে ২ হাজার লোক ঢাকায় জমায়েত করতে হবে। শিবিরের মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে হবে। বিএনপিকে ধ্বংস করে দিতে হবে।”

কৌঁসুলি মিজানুল বলেছিলেন, “কথোপকথনে দুজন নেতার কথা বলতে শোনা গেছে। এরা হলেন জোনয়েদ সাকি ও সাইফুল হক। তাদেরকে দলে কীভাবে নেওয়া যায় সে বিষয়ে কথা বলতে শোনা গেছে।

“শেখ হাসিনার নির্দেশে যে ধরনের নির্যাতনের বর্ণনা দেওয়া হয়, তার পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন হাসানুল হক ইনু।”

ফেনালাপের বরাতে মিজানুল বলেছিলেন, “আপনি আপনার লোকাল লিডার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলে দেন কীভাবে আন্দোলন দমন করতে হবে। সাক্ষ্য প্রমাণ তদন্তে আসছে যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও পুলিশ স্থানীয় আন্দোলনকারীদের উপর বিভিন্ন স্থানে গুলি চালিয়ে ছয়জনকে হত্যা করেছে, যার নির্দেশ দেওয়ার সাথে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে।

“আটটা অভিযোগের মধ্যে দুইটি সুনির্দিষ্ট আছে, সেগুলো হল একজনকে মাথায় গুলি করে হত্যা এবং ছয়জনকে গুলি করে হত্যা।”