কারাগার থেকে হাসপাতালে হাজি সেলিম
প্রকাশিত: ১৮:২৫, ২৩ মে ২০২২
দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংসদ হাজি সেলিম কারাগারে যাওয়ার পরদিনই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সোমবার সকালে তাকে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেওয়া হয়।
জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ এই তথ্য জানান। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাজি সেলিম।
জানা গেছে, এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্ডিওলজি বিভাগের একজন চিকিৎসকের অধীনে ভর্তি আছেন হাজি সেলিম। তাকে কেবিনে রাখা হয়েছে।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন হাজি সেলিম। তার জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। এর পর তাকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়।
হাজি সেলিমের শারীরিক কি সমস্যা তা জানতে চাইলে জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, ‘‘উনার তো বহুবিধ সমস্যা, আর আদালতই চিকিৎসার বিষয়ে জেলকোড অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলছে।’’
২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে জরুরি অবস্থার মধ্যে দুদক হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের মামলা করেছিল। সেই মামলায় সাজা হয়েছিল তার।
২০০৮ সালের এপ্রিলে বিশেষ আদালত হাজি সেলিমকে দুই ধারায় মোট ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সহযোগিতার জন্য অভিযোগে হাজি সেলিমের স্ত্রী গুলশান আরা বেগমকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
হাজি সেলিম এবং তার স্ত্রী সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করেন। এর পর ২০১১ সালের জানুয়ারিকে উচ্চ আদালত তাদের সাজা বাতিল করে রায় দেন।
দুদক এর পর সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করে।
এর প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে হাই কোর্টের রায় বাতিল হয়। তখন হাজি সেলিমের আপিল ফের হাই কোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
গত বছরের মার্চে সেই আপিলের শুনানি শেষে হাই কোর্ট বেঞ্চ একটি ধারায় হাজি সেলিমের ১০ বছরের সাজা বহাল রাখে। আরেকটি ধারায় তাকে ৩ বছরের সাজা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর সঙ্গে তাকে এক মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ততদিনে হাজি সেলিমের স্ত্রী গুলশান আরা বেগম মারা যাওয়ায় তার আপিলটি বাতিল করা হয়।
মন্তব্য করুন: