মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১০ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

এডিটর`স চয়েস

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২১-এ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

 প্রকাশিত: ১৮:৩৭, ১১ ডিসেম্বর ২০২১

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২১-এ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২১ এ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের ১৬২টি দেশের ৪ হাজার ৫৩৪টি দলকে হারিয়ে এই অর্জন নিজেদের করে নিলো বাংলাদেশের দলটি। ‘নাসা বেস্ট মিশন কনসেপ্ট’ শ্রেণিতে চ্যাম্পিয়ন হয় খুলনা থেকে মনোনিত দল ‘টিম মহাকাশ’।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফর্মেশন সার্ভিসেস (বেসিস) বিষয়টি জানিয়েছে।

টিম মহাকাশের উদ্ভাবিত টুল ‘এআরএসএস-অ্যাডভান্সড রিগোলিথ স্যাম্পলার সিস্টেম’ মূলত ভিনগ্রহে অভিযানের সময় মুক্তভাবে উড়তে থাকা ধুলিকণা নিয়ন্ত্রণের কাজ করবে। 

চাঁদে আগের মানব মিশনগুলোতে উপস্থিত ধূলিকণার মধ্যে কাজ করতে নানা জটিলতার মুখে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন নভোচারীরা। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কম হওয়ায় সহজেই ধূলিকণা উড়ে ভাসতে থাকে চারপাশে। এর ফলে নমুন সংগ্রহে বেগ পেতে হয় নভোচারীদের। এছাড়াও মহাজাগতিক রেডিয়েশানের কারণে আয়নিত হওয়া ধূলিকণা স্পেসস্যুট-এর গায়ে লেগে থেকে স্যুটের ক্ষতি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে।

এই পরিস্থিতি কার্যকরভাবে মোকাবিলায় সক্ষম একটি টুলসেট উদ্ভাবন করেছে ‘টিম মহাকাশ’। ভাসমান ধূলিকণাকে একটি আবদ্ধ চেম্বারে আটকে ফেলবে ঐ টুলসেট।

নাসার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া প্রসঙ্গে টিম মহাকাশের সুমিত চন্দ বলেন, নিজের দেশকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পারাটা সবসময় গর্বের। আমরা এমন একটা সমস্যার সমাধান নিয়ে কাজ করেছি যেটা নিয়ে নাসাসহ পৃথিবীর বড় বড় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা এখনো গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা চাইলেই পৃথিবীর বড় বড় সমস্যার সমাধান বের করে ফেলতে পারে সেটা আবারও দেখিয়ে দিয়েছি আমরা।

নিজেদের অর্জনে পর্দার পেছন থেকে ভূমিকা রাখায় দলের সদস্যদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, মেন্টর এবং বেসিসের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান সুমিত চন্দ।

বেসিস এবং বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহযোগিতায় আয়োজিত নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের এবারের আসরে বাংলাদেশ থেকে আট শতাধিক প্রকল্প জমা পড়েছিলো। অসম্পূর্ণ প্রকল্প বাতিল করার পর যাচাই-বাছাই শেষে ১২৫টি প্রকল্পের প্রতিনিধিরা ৪৮ ঘণ্টাব্যাপী হ্যাকাথনে অংশ নেন এবং সেরা ২৭টি প্রকল্প নাসার জন্যে বাংলাদেশ থেকে মনোনীত করা হয়। বাংলাদেশের ৯টি শহরে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঐ বাছাই পর্ব।

নাসার কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রথম ঘটনা নয় এটি। ২০১৮ সালেও নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল

মন্তব্য করুন: