কাল থেকে লকডাউন
প্রকাশিত: ০৮:০১, ৪ এপ্রিল ২০২১
কাল থেকে লকডাউন বন্ধ থাকবে - বাস, ট্রেন ও লঞ্চসহ সব গণপরিবহন, শপিংমল, দোকানপাট
* খোলা থাকবে - জরুরি সেবা, ব্যাংক, শেয়ারবাজার, কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল ও শিল্পকারখানা। এ ছাড়া কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, জ্বালানি, সংবাদপত্র, খাদ্য, শিল্পপণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জাম, জরুরি
* সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বাইরে বের হলে আইনি ব্যবস্থা
গত বছর করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পর সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। এবার সাধারণ ছুটি নয়, সরাসরি এক সপ্তাহের জন্য শুরু হতে যাচ্ছে ‘লকডাউন’। দেশে ফের করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ‘আপাতত’ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, যা আগামীকাল সোমবার থেকে কার্যকর হবে।
লকডাউন চলাকালে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কেউ ঘরের বাইরে বের হতে পারবেন না। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনী। এ ছাড়া সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি অফিসে আজ রবিবার থেকে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারি উপস্থিত থাকতে পারবেন। আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও প্রয়োজন সাপেক্ষে খুবই সীমিত পরিসরে খোলা রাখা যাবে।
লকডাউন চলাকালে দেশের ব্যাংকখাত কীভাবে চলবে, সে বিষয়ে গতকাল কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ রবিবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম।
গতকাল তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, কীভাবে ব্যাংক চলবে সে নির্দেশনা আসবে কাল (রবিবার)। লকডাউনের বিষয়টি সরকার ছুটির দিনে ঘোষণা করেছে। আজ (শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আগামীকাল রবিবার আমরা সিদ্ধান্ত জানাতে পারবো।
প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টাব্যাপ্তির বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দুই সপ্তাহের লকডাউন দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। পরে সর্বসম্মতিক্রমে আপাতত এক সপ্তাহের লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গতকাল সচিবদের বৈঠক থেকে করোনা রোগীদের জন্য একটি ফিল্ড হাসপাতাল করার প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আর্মি স্টেডিয়াম অথবা ঢাকা কলেজ প্রাঙ্গণে এ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। বৈঠকে লকডাউনের ধরন কেমন হবে, সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের একান্ত সচিব মাহমুদ ইবনে কাসেম জানান, জুম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসসহ সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং সচিবরা অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি, তিন বাহিনীর প্রতিনিধি, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিজিবি মহাপরিচালক, আনসারের মহাপরিচালকসহ চার গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন। বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দুই সপ্তাহের লকডাউন দেওয়ার প্রস্তাব করা হলেও সর্বসম্মতিক্রমে এক সপ্তাহের লকডাউন সমর্থন করা হয়। এ সংক্রান্ত সার-সংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য তার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলেই লকডাউন বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল
মন্তব্য করুন: